রদ্রিগোরের গোলে আলো ছড়িয়ে শুরু করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর ম্যানচেস্টার সিটি একের পর এক আক্রমণে দলের রক্ষণে ভীতি ছড়ায়। ম্যাচের পুরো সময়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দ্বিতীয় আওতাতেও গোল পেলে টাইব্রেকারে পৌঁছে। টাইব্রেকারে রিয়াল বাজিমাত করে জয়ী হয়েছে। আন্দ্রে লুনিনের সুপারিশে, রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করেছে, এবং এটি ইউরোপের সবচেয়ে সফলতম দল হিসাবে গণ্য হতে পারে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে, ইতিহাদ স্টেডিয়ামে, ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র করার পর টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে জয় লাভ করে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম লেগে ৩-৩ ড্রের ফলে ৪-৪ ব্যবধানের কারণে ম্যাচে টাইব্রেকারে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রতিপক্ষের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের শুরুটা দারুণ ছিল। তারা এগিয়ে যাওয়ার জন্য খুব বেশি সময় নেয়নি। ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটেই রদ্রিগোরের গোলে তারা আগে হয়ে গেলেন। ডান দিক থেকে আক্রমণে গেলে ভালভার্দেকে খুঁজে পেলেন বেলিংহ্যাম। উরুগুয়ে মিডফিল্ডার থেকে বল নিয়ে রদ্রিগোরকে বাড়ানো ভিনিসিউস। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের প্রথম শট এদারসন থেকে ঠেকিয়ে দিলেও ফেরত শটে জাল খুঁজে পেলেন।
গোল হজম করে সমতা আনতে মরিয়া হয়ে উঠে সিটি। ১৯তম মিনিটে এক সুযোগ পান তারা। ডি ব্রুইনার জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন লুনিন। ফেরত বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে হেড নেন হালান্ড, যেটি গোলবারে পেশ করে আসে। ফেরত শটে বল বাইরে পাঠিয়ে দিলেন বের্নান্দো সিলভা। ২৪তম মিনিটে অগ্রগামী হতে পারতেন রিয়াল। ত
বে ভিনিসিউসের দেওয়া দারুণ পাস ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি ভালভার্দে।
২৮তম মিনিটে ডি ব্রুইনা একটি অবসর পেলেন। তার দেওয়া ক্রস ঠিকঠাক হেড নিতে পারেননি হালান্ড। ফলে সহজেই বল নিয়ন্ত্রণে নেন লুনিন। ৩২তম মিনিটে আরও একটি সুযোগ পান স্বাগতিকরা। তবে গ্রিলিসের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন দানি কারভাহাল।
বিরতির পর আক্রমণ আরও বাড়ায় ম্যানচেস্টার সিটি। তার সফলতাও পায় তারা। কিন্তু অপেক্ষা করতে হয় লম্বা সময়। ৭৬তম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার গোলে সমতা ফিরে ইংলিশ ক্লাবটি। বদলি হয়ে নামা দোকু বল টেনে নিলে সেটি ঠেকিয়ে দেন রুডিগার। কিন্তু বক্সে থাকা ডি ব্রুইনা ফেরতি বল লুনিনের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠান। পরে আর কোনো গোল না হলে খেলা গড়ে অতিরিক্ত সময়ে।
৯৯তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াস করেন ম্যানসিটি। কিন্তু সিলভারের দেওয়া ক্রস ফোডেনের পা মিলে লুনিনের কাছে চলে যায়। অতিরিক্ত সময়ের যোগ করা হয়। ৯৯তম মিনিটে লুনিনের প্রাথমিক পেনাল্টি বাতিল হয়ে যায় মদ্রিচ দ্বারা। সিটির পরের পেনাল্টি নিতে গিয়ে সিলভা লুনিনের দ্বারা বাতিল হয়। তবে রিয়ালের হাতে এবার সফল হয়ে গেলেন বেলিংহ্যাম। তৃতীয় পেনাল্টিতে সিটির কোভাচিচের প্রয়াস সফল হয়ে যায়। তারপর রিয়ালের পালা এসে লুকাস ভাসকে গোল করতে দেয়। পরে সিটির ফিল ফোডেন ও এদেরসন গোল করেন। আর রিয
়ালের নাচো ও রুডিগারের পেনাল্টি মিস না হলে আনন্দে ভাসে ক্লাবটি।
একই রাতের অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে, বায়ার্ন হোমে ১-০ জয় পেতে সক্ষম হয়ে আর্সেনালকে হারিয়েছে। প্রথম লেগে ২-২ ড্রের ফলে ৩-২ ব্যবধানের সাথে জার্মান ক্লাবটি সেমিফাইনালে অগ্রগামী হয়েছে। ফেরতি লেগে, তারা অগ্রগামী গোলটি করেছেন জশুয়া কিমিচ।
0 মন্তব্যসমূহ